পোস্টগুলি

ফেব্রুয়ারী, ২০২২ থেকে পোস্টগুলি দেখানো হচ্ছে

'গোপালের পড়া’ সুকুমার রায়

ছবি
মোঃ আসাদুজ্জামান 'গোপালের পড়া' সুকুমার রায় দুপুরের খাওয়া শেষ হ‌‌ইতেই গোপাল অত্যন্ত ভালোমানুষের মতন মুখ করিয়া দু-একখানা পড়ার ব‌‌ই হাতে ল‌‌ইয়া তিনতলায় চলিল। মামা জিজ্ঞাসা করিলেন, “কিরে গোপলা, এই দুপুর রোদে কোথায় যাচ্ছিস?” গোপাল বলিল, “তিনতলায় পড়তে যাচ্ছি।” মামা— “পড়বি তো তিনতলায় কেন? এখানে বসে পড় না।” গোপাল— “এখানে লোকজন যাওয়া-আসা করে, ভোলা গোলমাল করে, পড়বার সুবিধা হয় না।” মামা— “আচ্ছা, যা মন দিয়ে পড়গে।” গোপাল চলিয়া গেল, মামাও মনে মনে একটু খুশি হ‌‌ইয়া বলিলেন, “যাক, ছেলেটার পড়াশুনোয় মন আছে।”   এমন সময় ভোলাবাবুর প্রবেশ- বয়স তিন কি চার, সকলের খুব আদুরে। সে আসিয়াই বলিল, “দাদা ক‌‌ই গেল?” মামা বলিলেন, “দাদা এখন তিনতলায় পড়াশুনা করছে, তুমি এইখানে বসে খেলা কর।” ভোলা তৎ‌ক্ষনাৎ‌ মেঝের উপর বসিয়া প্রশ্ন আরম্ভ করিল, ‘দাদা কেন পড়াশুনা করছে, পড়াশুনা করলে কি হয়? কি করে পড়াশুনা করে?’ ইত্যাদি। মামার তখন কাগজ পড়িবার ইচ্ছা, তিনি প্রশ্নের চোটে অস্থির হ‌‌ইয়া শেষটায় বলিলেন, “আচ্ছা ভোলাবাবু, তুমি ভোজিয়ার সঙ্গে খেলা কর গিয়ে, বিকেলে তোমায় লজেঞ্চুস এনে দেব।” ভোলা চলিয়া

দুই বন্ধু ও ভাল্লুক – ঈশপ এর গল্প |

ছবি
একদিন দুই বন্ধু বেরোলো বেড়াতে। যেতে যেতে পথে হঠাৎ ভয়ংকর এক ভালুকের সামনে পড়ল দু জন। দুই বন্ধুর মধ্যে একজন গাছে চড়তে জানত। বিপদ বুঝে তখনই পাশের একটা বড় গাছে চড়ে বসল সে। অন্য বন্ধুটি গাছে চড়তে জানত না, এটা জেনেও বন্ধুর কথা না ভেবে তাকে বিপদের মুখে ফেলে সে নিশ্চিন্তে আত্নরক্ষার ব্যবস্থা করল। অন্য বন্ধুটি বিপদ বুঝে গাছের তলায় মরার মতো পড়ে রইল। কারণ সে জানত ভালুক কখনো মরা মানুষকে আক্রমণ করে না।ভালুকটি তার কাছে আসতেই সে নিঃশ্বাস বন্ধ করে ফেলল। ভালুক তার নাখ-মুখ পরীক্ষা করে যখন বুঝল লোকটি মৃত, চলে গেল। ভালুক চলে যেতেই অন্য বন্ধুটি গাছ থেকে নেমে এসে বন্ধুকে জিজ্ঞাসা করল, ‘বন্ধু, ভালুক তোমার কানে কানে কী বলে গেল?’বন্ধুর কথা শুনে সে হেসে উত্তর দিল, ‘ভালুক আমার কানে কানে এই উপদেশ দিল, যে বন্ধু বন্ধুর বিপদে তার পাশে থাকে না, ভবিষ্যতে যেন এমন বন্ধুর সঙ্গে আর পথ না চলি।’ উপদেশঃ বিপদেই সত্যিকার বন্ধুর পরিচয় পাওয়া যায়।

কুকুর ও বেড়াল

ছবি
অণুরূপকথা: অমিত কুমার কুণ্ডু অলংকরণ : গোবিন্দ প্রসাদ দেবনাথ গহিন বন। গাছগাছালি বনটাকে অন্ধকার করে রেখেছে। বনের মধ্য দিয়ে চলে গেছে পায়ে চলার পথ। এই পথ ধরে একদল শেয়াল যাচ্ছিল। হুক্কাহুয়া করে ডাকতে ডাকতে। পথের পাশে দাঁড়িয়ে ছিল একটা কুকুর। কুকুরের সঙ্গে শেয়ালের শত্রুতা আজীবনের । কুকুর শেয়ালের দলটা দেখে তাদের পিছু নিল । কুকুর শেয়াল দেখলেই আক্রমণ করবে এ আর নতুন কী? কিন্তু এই কুকুর শেয়ালের দলের পেছন পেছন এলেও তাদের ওপর ঝাঁপিয়ে পড়ল না। কিছুটা দূরে গিয়ে ফিরে এলো। কুকুরকে ফিরে আসতে দেখে একটা বেড়াল মুখ ভ্যাংচে বলল, খুব তো বাহাদুরি দেখাতে শেয়ালের দলের পিছু নিয়েছিলে। এখন আবার ফিরে এলে যে? ভয় পেয়ে গেলে? হা হা হা! ভয় তো পাবেই ভায়া তুমি কি আর সেই জাতের কুকুর। কুকুর দেখেছিলাম আমার মামার বাড়ি। যেমন মোটা, তেমন তেজি। শেয়াল তো দূরের কথা, চোর-ডাকাত পর্যন্ত মামার বাড়ির ত্রিসীমানায় পা রাখত না। শেয়ালের কথা শেষ হলে কুকুর বলল, ফিরে এলাম কি সাধে! ওরা প্রথম প্রথম বোঝেনি, একটা কুকুর একদল শেয়ালকে তাড়া করছে। যখন বুঝতে পারবে তখন কি আমাকে আস্ত রাখবে? আবেগ দিয়ে তো জীবন চলে না? কেন বোকামি করব

প্রহারেণ ধনঞ্জয়' জসীম উদ্দীন

ছবি
 মোঃ আসাদুজ্জামান — February 19, 2022 ' এক কুলীন ব্রাহ্মণ ছিল খুবই গরীব। কোনোরকমে দিন চলে যায়। কোন এক বর্ষাকালে সাত মেয়ের সাত জামাই এসে বসে আছে তার বাড়িতে। বেচারি শ্বশুর আজ বিক্রি করে বউ-এর গয়না, কাল বিক্রি করে পিতলের কলসী। যা মূল্য পায় তাই দিয়ে জামাইদেরকে খাওয়ায়। আষাঢ় মাসের ঘন বর্ষার দিন। দুধে-মাছে খেয়ে জামাইরা আর ফেরার নামও করে না। পাড়ার একজন লোক, গরীব ব্রাহ্মণের অবস্থা দেখে বড়ই দুঃখিত হল। সে এসে শ্বশুরকে বলল, “আপনার জামাইরা যে আজ দশ-বারো দিন ধরে বসে বসে খাচ্ছে, তাদের বাড়ি চলে যেতে বলেন না কেন?” শ্বশুর বলল, “তাহা যদি করি তবে জামাইরা রেগে মেগে বাড়ি গিয়ে আমার মেয়েদের কষ্ট দিবে। সেই জন্যই তো তাদেরকে এতটুকু অযত্ন করতে সাহস পাই না।”   তখন সেই লোকটি শ্বশুরের কানে কানে একটি উপদেশ দিয়ে গেল। পরদিন জামাইদের খাওয়ার সময় পাতে ঘি পড়ল না। তাহা দেখে হরি নামের জামাই রেগে একেবারে অস্থির। সে ভাতের থালা ধাক্কা দিয়ে ফেলে দিয়ে বলে উঠল, “কি-আজ আমাদের থালায় ঘি পড়ল না, ঘি না খাইয়ে শ্বশুর আমাদেরকে অপমান করলেন। এমন শ্বশুরবাড়ি কে থাকে?” এই বলে সে গাট্টি-বোচকা নিয়ে শ্বশুরবাড়ি হতে চলে গেল।  

কুত্তায় খাইয়া গেছে’ হাসির গল্প

ছবি
মোঃ আসাদুজ্জামান  —  February 20,22 গ্রামের ছাপরাঘরের এক হোটেল। তার একটা দিকে খানিকটা ভাঙা। সেই ভাঙা জায়গা দিয়ে বেড়াল, এমনকি কুকুর পর্যন্ত ঢুকে যেতে পারে। হোটেলের মালিক ইংরাজ আলী খুব কৃপণ। একেবারেই যাকে বলে হাড় কঞ্জুষ। তাই নতুন বেড়া না লাগিয়ে ভাঙা বেড়ার জায়গায় একখণ্ড কাঠ ফেলে রাখে। সামনের ঝাপ অবশ্য ঠিকঠাক শক্তপোক্ত আছে। ভাঙা বেড়া ইংরাজ আলী ঠিক করে না; কারণ দিনের বেলা ওই ভাঙা দিয়ে কুকুর-বেড়াল ঢুকলে তা দেখা যাবে এবং দোকানের কর্মচারী হরমুজ আলী তা তাড়াবে। আর রাতে বেড়ার কাঠখণ্ড ঘেঁষে হরমুজ আলীর বিছানা এমনভাবে পাতা হয় যে কুকুর-বেড়াল-শেয়াল দূরে থাক, ইঁদুর-ছুঁচো পর্যন্ত ঢুকতে পারে না। সেই হোটেল ভালই চলে। চটপটে, পরিশ্রমী কর্মচারী হরমুজ, খুব সাবধান। আর আস্ত ট্যাটনও। আর রস-রসিকতায় আগের দিনের ঢাকাইয়াদের মতো সরস। কথা মাটিতে পড়া দায়। একদিনের কথা। এক খরিদ্দার এলো দোকানে। ওই দোকানের নানা খাবারের মধ্যে মোটা কড়া পাকের দুধের সর বা মালাইয়ের খুব নাম ছিল। নতুন খরিদ্দারের তা দেখে খুব পছন্দ হয়ে গেল। সে বলে : আমি এই মালাই খাব। এর দাম কত? হরমুজ : দাম তিন টাকা। খরিদ্দার : নয় ট্যাকা সের দ

সাপ আর টাকি মাছ

ছবি
🗣️:-সাপ আর টাকি মাছের মাঝে খুব বন্ধুত্ব ৷ কিন্তু সাপ ছিলো বেজায় অহংকারী ৷ অহংকারের বশে সে কখনো ডানে, কখনো বাঁয়ে এভাবে হেলেদুলে চলত ৷ ভরা বর্ষায় দুই বন্ধু একদিন ঘুরতে বের হলো ৷ সাপ তার স্বভাব সুলভ রাজকীয় ভঙ্গিতে ডানে বাঁয়ে হেলে দুলে চলতে লাগল ৷ এতে সাপের টাকি মাছের সাথে চলতে সমস্যা হচ্ছিলো ৷ দু'জনের চলার পথের প্রতিবন্ধকতা দূর করার জন্য টাকি মাছ সাপকে বললো, "বন্ধু, তুমি একটু সোজা হয়ে হাঁটলেইতো পার ৷" সাপ বললো, "বন্ধু, যারে দেখতে নারি তার চলন বাঁকা ৷ তুমি আসলে আমাকে দেখতে পারো না, তাই আমার চলন তোমার কাছে বাঁকা মনে হয় ৷" টাকি মাছ বললো, "ব্যাপারটা আসলে তা নয় ৷ তোমার বাঁকা চলার কারনে আমি তোমার পাশাপাশি হাঁটতে পারছি না ৷" সাপ বললো, "বাপ-দাদার চৌদ্দ পুরুষ ধরে আমরা এভাবে চলে আসছি, আর তুমি আসছো আমাকে পথ চলা শেখাতে?" একেতো টাকি মাছের চেয়ে লম্বা বলে অহংকারে সাপের পা পড়ে না, তার উপর সাপের অন্তর ভরা বিষ ৷ টাকি মাছ যতই তাকে বোঝাতে চায় ততই সে ফোঁস ফোঁস করে ফুলেতে থাকে ৷ তর্ক- বিতর্কের এক পর্যায়ে তারা জেলের জালে ধরা পড়ে ৷ জেলে সাপকে মেরে সোজা করে ঝুলিয়ে রা

কচ্ছপ আর খরগোশের দৌড় প্রতিযোগিতা'

ছবি
 আদি আমল থেকে খরগোশ আর কচ্ছপের গল্প আমরা সবাই জানি। কিন্তু মজার বিষয় হল আমরা ১ম অধ্যায় টা বেশি শুনেছি। গল্পের আরো ৩ টি অধ্যায় আছে। হয়তো কেও শুনেছি, কেও শুনিনি। ১ম অধ্যায়ঃ এই অধ্যায়ে খরগোশ ঘুমিয়ে যায়, আর কচ্ছপ জিতে যায়। প্রথমবার খরগোশ হেরে যাওয়ার পর বিশ্লেষণ করে দেখল হারার মূল কারণ- ‘খরগোশ এর অতিরিক্ত আত্মবিশ্বাস।’   সারাংশঃ খরগোশ থেকে পেলাম- অতি আত্মবিশ্বাস যে কারো জন্য ই ক্ষতিকর। কচ্ছপ থেকে পেলাম – লেগে থাকলে সাফল্য আসবেই। ২য় অধ্যায়ঃ হেরে যাওয়ার পর খরগোশ আবারো কচ্ছপকে দৌড় প্রতিযোগিতা করতে বলে। কচ্ছপ এতে রাজী ও হয়। এবার খরগোশ না ঘুমিয়ে দৌড় শেষ করল। কচ্ছপ ও আস্তে আস্তে দৌড় শেষ করল। সারাংশঃ খরগোশ থেকে পেলাম – দ্রুত এবং অবিচল ভাবে নিজের কাজে মন থাকলে দ্রুত সফল হওয়া যায়। কচ্ছপ থেকে পেলাম – ধীর স্থির ভাবে চলাফেরা ভালো, তবে গতি ও নির্ভরতা বেশী ভালো। ৩য় অধ্যায়ঃ কচ্ছপ এবার হেরে যাওয়ার তার একটু মন খারাপ হল। সে আবারো খরগোশ কে আরেকটি দৌড় প্রতিযোগিতার আমন্ত্রন জানালো। খরগোশ ও নির্দিধায় রাজী হয়ে গেল। তখন কচ্ছপ বলল, “একই রাস্তায় আমারা ২ বার দৌড় দিয়েছি, এবার অন্য রাস্তায়

ব্যাঙের রাজা’ সুকুমার রায়

ছবি
রাজবাড়িতে যাবার যে পথ, সেই পথের ধারে প্রকাণ্ড দেয়াল, সেই দেয়ালের একপাশে ব্যাঙেদের পুকুর। সোনাব্যাং, কোলাব্যাং, গেছোব্যাং, মেঠোব্যাং— সকলেরই বাড়ি সেই পুকুরের ধারে। ব্যাঙেদের সর্দার যে বুড়ো ব্যাং, সে থাকে দেয়ালের ধারে, একটা মরা গাছের ফাটলের মধ্যে, আর ভোর হলে সবাইকে ডাক দিয়ে জাগায়— “আয় আয় আয়— গ্যাঁক্‌ গ্যাঁক্‌ গ্যাঁক্‌— দেখ্‌ দেখ্‌ দেখ্‌— ব্যাং ব্যাং ব্যাং— ব্যাঙ্গাচি।” এই ব’লে সে অহংকারে গাল ফুলিয়ে জলের মধ্যে ঝাঁপ দিয়ে পড়ে, আর ব্যাংগুলো সব “যাই যাই যাই— থাক্‌ থাক্‌ থাক্‌” ব’লে, ঘুম ভেঙে, মুখ ধুয়ে দাঁত মেজে, পুকুর-পারের সভায় বসে। একদিন হয়েছে কি, সর্দার ব্যাং ফুর্তির চোটে লাফ দিয়েছে উলটোমুখে ডিগবাজি খেয়ে— আর পড়বি তো পড়, এক্কেবারে দেয়াল টপকে রাজপথের মধ্যিখানে! রাজা তখন সভায় চলেছেন, সিপাইশান্ত্রী লোকলস্কর দলবল সব সঙ্গে চলেছে। মোটা মোটা সব নাগ্‌রাই জুতো, খট্‌মট্‌ ঘ্যাঁচ্‌ম্যাঁচ্‌ ক’রে ব্যাং বুড়োর মাথার উপর দিয়ে ডাইনে বাঁয়ে সামনে পিছে এমনি রোখ ক’রে চলতে লেগেছে, যে ভয়ে ব্যাঙের প্রাণ তো যায় যায়! হঠাৎ কোত্থেকে কার একটা লাঠি না ছাতা না কিসের গুঁতো এসে এমনি ধাঁই করে ব্য

বানর ও কুমির

ছবি
এক বানর ও এক কুমিরের মধ্যে গভীর বন্ধুত্ব জমে উঠল। বানরটি বাস করত নদীর ধারের একটি আমগাছে। আর কুমির থাকত নদীতে। তারা প্রায়ই হাসি-ঠাট্টায় মশগুল থাকত। আমের মওসুমে বানরটি গাছের ওপর থেকে কুমিরের জন্যে নদীতে আম ছুড়ে মারত। কুমিরটি শুধু একা নিজে খেত না, কিছু আম তার স্ত্রীর জন্যে নদীর অপর পারের বাসায়ও নিয়ে যেত। একদিন কুমিরের স্ত্রী স্বামীকে বলল, ‘আজ সন্ধ্যায় তোমার বানর-বন্ধুকে বাসায় নিয়ে এসো। তাকে দেখতে বড়ই ইচ্ছে করছে।’ কুমির প্রশ্ন করল, ‘হঠাত্ অমন ইচ্ছে কেন হলো বউ?’ বউ বলল, ‘সত্যি কথা বলতে কী, ওটা আমার বেশ উপাদেয় খাবার হবে।’ কুমির চেঁচিয়ে বলল, ‘কী সব বাজে বকছ তুমি? আমার বন্ধু কেন তোমার খাবার হতে যাবে?’ স্ত্রী-কুমির মৃদুস্বরে জবাব দিল, ‘নানা মুখে শুনতে পেয়েছি বানরের কলিজা নাকি খুবই সুস্বাদু।’ কুমির বলল, ‘অসম্ভব ব্যাপার আমি কিভাবে একজন বন্ধুকে বাড়িতে দাওয়াত করে এনে হত্যা করতে পারি?’ তবুও স্ত্রী-কুমির অনবরত পীড়াপীড়ি করতে করতে স্বামীকে অতিষ্ঠ করে তুলল। অবশেষে কুমির স্ত্রীর অপ্রিয় অনুরোধে সায় দিল। কুমির নদীর ওপারে বানরের কাছে গিয়ে অতি বিনয়ের সুরে বলল, ‘বন্ধু আমার স্ত্রী তোমাকে বাড়িতে দাওয়াত করেছে।