পোস্টগুলি

মে, ২০২২ থেকে পোস্টগুলি দেখানো হচ্ছে

মহিলা ও একটি পোষা বেঁজি

ছবি
নীতি গল্প: না বুঝে কোনো সিদ্ধান্ত নেওয়া ঠিক নয় মোঃ আসাদুজ্জামান — May 7, 2021 একজন মহিলার একটি পোষা বেঁজি ছিল। বেঁজিটি খুব বিশ্বস্ত ছিলো। একদিন মহিলাটি তার শিশুকে বেঁজিটির তত্ত্বাবধানে রেখে বাইরে গেল। মহিলাটি বাসা থেকে বের হওয়ার কিছুক্ষন পর একটি কিং কোবরা সাপ বাসায় ঢুকলো। শিশুটি সাপ দেখে ভয়ে কাঁদতে লাগলো। বেঁজিটি সাপটির উপর ঝাপিয়ে পড়লো। অনেকক্ষণ লড়াই করার পর সাপটি মারা গেল। বেঁজিটি রক্তাক্ত মুখ নিয়ে বাসার গেটের সামনে মহিলাটির জন্য অপেক্ষা করতে লাগলো। যখন মহিলাটি বাসায় আসলো তখন বেজিটিকে রক্তাক্ত অবস্থায় দেখতে পেল। মহিলাটি ভাবলো বেঁজিটি হয়তো তার শিশুকে কামড়িয়েছে। তিনি একটি পানির পাত্র দিয়ে আঘাত করে বেঁজিটিকে মেরে ফেললো। কিন্তু তিনি যখন ভিতরে প্রবেশ করলেন তখন দেখতে পেলেন, শিশুটির পাঁশে একটি মৃত কিং কোবরা সাপ পড়ে আছে। তখন তিনি ভূল বুঝতে পারলেন। কিন্তু এতোক্ষণে যা হবার হয়ে গেছে। মৃত বেঁজিটির জন্য চোখের পানি ফেলা ছাড়া তার কিছুই করার ছিল না। শিক্ষা: আমরা অনেক সময় তরিত্‍ সিধান্ত নেই ও ধারনার উপর কাজ করি। তরিত্‍ সিধান্ত ও ধারনার উপর করা কাজের ফলাফলকখনো ভালো হয় না ।

শিকারি ও বুদ্ধিমান পাখি

ছবি
শিক্ষণীয় গল্প: শিকারি ও বুদ্ধিমান পাখি মোঃ আসাদুজ্জামান — March 8, 2021 একবার এক শিকারি ছোট্ট একটি পাখি ধরে ফেলল। পাখিটি খুব বুদ্ধিমান ছিল। পাখিটি শিকারির খুব প্রশংসা করতে লাগল যে, তুমি এতবড় শিকারি! জীবনে অনেক বাঘ মেরেছ, অনেক ভাল্লুক মেরেছ, এই করেছ, সেই করেছ। আমি একটা ছোট্ট পাখি, আমার ওজন ১০০ গ্রামও না, আমাকে খেয়ে তুমি কী করবে? আমাকে খেলে তো তোমার পেটের একটা কোনাও ভরবে না। তার চেয়ে বরং আমাকে ছেড়ে দাও। তোমাকে এমন তিনটি মূল্যবান বাণী শোনাব যা তোমার সারাজীবন কাজে লাগবে। এমনভাবে সে কথাবার্তা বলছিল যে শিকারির মন গলে গেল। কারণ তেল পেতে সবাই পছন্দ করে। আরেকজনকে গলানোর সবচেয়ে সহজ উপায় হচ্ছে তেল। সে ভেবে দেখল, ঠিকই তো। এত ছোট পাখি খেয়ে কোনো লাভ নেই। তার চেয়ে শুনি, পাখিটা কী বলতে চায়। হয়তো এতে আমার লাভ বেশি হবে। শিকারি রাজি হওয়ায় পাখিটি বলল, আমি প্রথম বাক্যটি বলব তোমার হাতের ওপর বসে, দ্বিতীয় বাক্যটি বলব এই গাছের ডালে বসে, তৃতীয় বাক্যটি বলবো গাছের মগডালে বসে। শিকারি বললো, ঠিক আছে। পাখি বলল, ‘কখনো অলীক কল্পনা কর না, যা অবাস্তব সেটা কখনো বিশ্বাস কর না’। শিকারি বলল, খুব ঠিক কথা। সত্যিই

কৃষক ও গাধার গল্প

ছবি
গাধা ও কৃষকের একটি শিক্ষণীয় গল্প! মোঃ আসাদুজ্জামান — May 18, 2020 একদিন এক কৃষকের গাধা অগভীর কুয়ায় পড়লো। কিন্তু কুয়াটার গভীরতা গাধার উচ্চতা থেকে বেশি হওয়াতে অবলা প্রাণীটি উঠে আসতে পারছিল না। গাধার ত্রাহি চিৎকারে কৃষক এবং আশপাশের মানুষ ছুটে আসল। কিন্তু ওরাও বুঝে উঠতে পারল না কী করবে। ঘণ্টা খানেক নানা ভাবে চেষ্টা করার পরও যখন গাধাকে উপরে তুলে আনা গেল না,কৃষক তখন চিন্তা করল, কুয়াটা আগে থেকেই বিপজ্জনক। বেশ কয়েকটি বাচ্চা কুয়াতে পড়ে বারবার আহত হয়েছে। কুয়াটা এমনিতেই ভরাট করতে হবে, তার উপর গাধাটা অনেক বুড়ো এবং দুর্বল হয়ে গেছে। তাই কৃষক সিদ্ধান্ত নিল গাধাসহ কুয়াটি ভরাট করে ফেলবে।   কৃষক সবাইকে ডাক দিয়ে হেল্প করতে বলল। সবাই হাতে বেলচা এবং কোদাল নিয়ে পাশ থেকে মাটি কেটে কুয়াতে ফেলতে লাগল। কিছু মাটির দলা গিয়ে গাধাটির উপরেও পড়ল। ওদের মাটি ফেলা দেখে গাধাটি বুঝতে পারল কি ঘটতে চলেছে, প্রাণীটি ভয়ে-দুঃখে নিরবে কাঁদতে লাগল। কিছুক্ষণ মাটি ফেলার পরে সবাই হঠাৎ চমকে গেল, কারণ গাধাটি অদ্ভুত একটা কাণ্ড করে বসেছে। সবাই যখন গাধার উপরে মাটি ফেলছে,গাধাটি তখন গা-ঝাড়া দিয়ে মাটি নিচে ফেলে দিচ্ছে এবং এক-পা, এক- পা করে
ছবি
একটি শিক্ষনীয় গল্প এক মিনিট সময় নিয়ে হলেও সবাই পড়বেন উপকৃত হবেন!! একবার এক রাজা তার তিন মন্ত্রীকে ডেকে বললেন,এই নাও তোমাদের একটা করে খালি বস্তা দিলাম।তোমাদের কাজ হবে বনে গিয়ে বিভিন্ন ফল কুড়িয়ে এই বস্তা ভরে নিয়ে আসবে,দেখি কে কত তাড়াতাড়ি বস্তা পূর্ণ করে নিয়ে আসতে পার।তিন জন চলে গেল জঙ্গলে। ✡️১ম মন্ত্রী চিন্তা করলো,রাজা বলেছেন তাই ভালো ভালো ফল কুড়িয়ে বস্তা পূর্ণ করি এবং সেই মত জঙ্গলের ভালো ফল কুড়িয়ে বস্তা ভরে ফিরে আসল। ✡️২য় মন্ত্রী চিন্তা করলো,রাজা তো সব ফল দেখবেন না তাই হাবিজাবি পচা ফল দিয়ে সে নীচের দিকে পূর্ণ করে,উপরের দিকে শুধু কিছু ভালো ফল দিয়ে বস্তা পূর্ণ করলো এবং ফিরে আসল। ✡️৩য় মন্ত্রী চিন্তা করলো,রাজার এত সময় কোথায় বস্তা খুলে খুলে দেখবে,সে শুধু দেখবে বস্তা পূর্ণ হয়েছে কিনা।জঙ্গলে মরা পাতা,ঘাস,কাঠ দিয়ে বস্তা পূর্ণ করে নিয়ে এলো । তিন মন্ত্রী রাজার দরবারে হাজির,রাজা সবার বস্তা পূর্ণ দেখে খুশী হলেন।তিনি বস্তাগুলো খুলেও দেখলেন না।৩য় মন্ত্রী নিজের বুদ্ধির কথা চিন্তা করে নিজেকে বেশ বুদ্ধিমান মনে করতে লাগলো। রাজা একটু সময় নিয়ে তার মসনদে বসলেন এবং ঘোষণা করলেন,এই তিন মন্ত্রীদের তাদের ব

ভাগাভাগি – জসীম উদ্দীন

ছবি
মোঃ আসাদুজ্জামান — February 18, 2022 'ভাগাভাগি' জসীম উদ্দীন বাপ মরে গিয়েছে। দুই ভাই আলাদা হবে। বড়ভাই ছোটভাইকে বলল, “দেখ, আমাদের একটিমাত্র গাই (গাভী) আছে, কেটে তো আর দুই ভাগ করা যাবে না। তুই ছোটভাই। তোকেই গাই’র বড় ভাগটা দেই। তুই তাহলে গাই’র মুখের দিকটা নে। আর আমি গাই’র লেজের দিকটা নেই।” ছোটভাই ভারি খুশি! বড়ভাই যে তাঁকে ভাল ভাগটা দিয়েছে, সেজন্য সে বড় ভাইয়ের প্রতি খুবই কৃতজ্ঞ। সে সারাদিন এখান হতে ওখান হতে ঘাস কেটে এনে গাইটাকে খাওয়ায়। আর ওদিকে বড়ভাই রোজ সকালে হাঁড়ি ভরে দুধ দোয়ায়। সেই দুধ দিয়ে ছানা বানায়, ছানা দিয়ে রসগোল্লা বানায়, সন্দেশ বানায় আরও কত কি বানায়! বড়ভাই ভারি খুশি, “বেশ আমার ছোটভাই। এমনিই তো চাই। এবার বুঝতে পারলাম, বাপের সম্পত্তি তুমি ঠিকই রক্ষা করতে পারবে। তোমার ভাগে যখন গাইর মুখের দিকটা পড়েছে, তখন নিশ্চয়ই তোমাকে ভালমতো তাকে খাওয়াতে হবে।”   বড়ভাইর তারিফ শুনে ছোটভাই আরও বেশি করে গরুকে ঘাস দেয়। বড়ভাই আরও বেশি করে গরুর দুধ দোয়ায়; আর ছোটভাইকে আরও বেশি করে তারিফ করে। একজন চালাক লোক একদিন ছোটভাইকে বলল, “আরে বোকা! তুই গরুর মুখের দিকটা নিয়ে, দিন রাত গরুকে